Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
নির্ভক ফায়ার ফাইটার
বিস্তারিত

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায়
শায়িত হলেন শহীদ
অগ্নিসেনা সোহেল রানা

বনানী এফআর টাওয়ারের অগ্নি দুর্ঘটনায় অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শহীদ অগ্নিসেনা সোহেল রানার মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে। যে মাটিতে সোহেল রানার বেড়ে ওঠা, সে মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল ফায়ারম্যান সোহেল রানার মৃত্যু সংবাদে শোক জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। একই দিন রাত ১০-৪০ মিনিটে সোহেল রানার মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপস্থিত ছিলেন। গার্ড অব অনার শেষে তাঁরা সোহেল রানার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
৯ এপ্রিল সকাল ১১ ঘটিকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে সোহেল রানার মরদেহের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সোহেল রানার পরিবারের সদস্যগণ অংশ নেন। পরে তার মরদেহ নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের কেরুয়াইলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নি দুর্ঘটনায় অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। তার অবস্থার উন্নতি না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ০৫/০৪/১৯ খ্রিঃ সন্ধ্যা ১৮-৪৫ মিনিটে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে যোগে তাকে সিংগাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৮/০৪/১৯ খ্রিঃ বাংলাদেশ সময় ০২-১৭ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি বাবা-মা, তিন ভাই ও এক বোন রেখে গেছেন।
জানাজার আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সোহেল রানার চাকরি বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। এ সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া সোহেল রানার প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।